২৬ জুন এক নজরে বাংলাদেশ

২৭ জুন এক নজরে বাংলাদেশ

মানবিক রাষ্ট্র গড়তে এগিয়ে আসুন-সাংবাদিকদের প্রতি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের মাঝে আত্মিক উন্নয়ন তথা মেধা, মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা একটি উন্নত মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। দেশের মানুষের সেই মনন তৈরিতে সাংবাদিকরা এগিয়ে আসবেন সেটিই প্রত্যাশা।’

আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

জহুর হোসেন চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি আয়োজিত এ সভায় জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খাঁনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল হক ভুঁইয়া ও ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু সেটির পেছনে কিছু প্রথিতযশা মানুষ, কিছু লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকদের অনবদ্য ভূমিকা না থাকলে জাতির মনন তৈরি হতো না। তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন জহুর হোসেন চৌধুরী।’

আমার কাছে সাংবাদিকতা একটি ব্রত মনে হয়। যারা জহুর হোসেন চৌধুরীর সময় সাংবাদিকতা করেছেন কিংবা আজ থেকে ৪০ বছর আগেও যারা সাংবাদিকতা শুরু করেছেন তখন সাংবাদিকতা ব্রত ছিলো না।

সাংবাদিকতা শুধু একটি পেশা নয়, অনেক সাংবাদিকের কাছে এটি একটি ব্রত উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশ গঠনটা কেমন সেটিও একটি প্রশ্ন। পাশ্চাত্যের মতো শুধু বস্তুগত উন্নয়নই নয়, প্রয়োজন মানবিক সামাজিক রাষ্ট্র গঠন। এজন্য প্রয়োজন মানবিকতার বিকাশ, যে মানবিকতা দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে। উন্নয়নের সাথে যন্ত্রের ব্যবহারের সাথে সাথে মানুষও যন্ত্র হয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে, সমাজকে রক্ষা করতে হবে, সেজন্য মানবিকতার উন্নয়ন প্রয়োজন।’

মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হয়, রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব হচ্ছে জাতিকে স্বপ্ন দেখানো, একইসাথে সাংবাদিকরাও পারেন স্বপ্ন দেখাতে, বলেন হাছান মাহ্‌মুদ । তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মতো শক্ত মনের মানুষ, যাকে শিবির দু’বার জবাই করতে চেয়েছিলো, ২১ আগস্ট মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি, বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি, কিন্তু সেই আমাকেও সাংবাদিকদের অনেক রিপোর্ট কাঁদায়, ভাবায়।’

জহুর হোসেন চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘আপনাদের কাছে নিবেদন থাকবে, জহুর হোসেন চৌধুরীরা যেভাবে তাদের লেখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকতার নীতি-আদর্শ আজীবন লালন করে যেভাবে দেশ ও সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচন করেছেন, সমাজকে সঠিক চিন্তার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, আজকের প্রেক্ষাপটেও একটি মানবিক সামাজিক মূল্যবোধ রাষ্ট্র গঠনে অবদান রেখে সেই কাজটি আপনারা করবেন।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার বক্তৃতায় সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরীর মেধা ও মননশীল সাংবাদিকতাকে সংবাদপত্র দুনিয়ায় একটি উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি দুঃশাসনের মধ্যেও জহুর  হোসেন চৌধুরী দেশে সাংবাদিকতার ভিত গড়ে গেছেন।  তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে তিনি অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন।’

সভা শেষে আয়োজক ও অতিথিবৃন্দ বিভিন্ন পত্রিকায় জহুর হোসেন চৌধুরীর কলাম লেখনীর সংকলন ‘দরবার-ই-জহুর কলাম’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। ‘আবিষ্কার’ প্রকাশিত ২৪০ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থটি সকলকে পড়ে দেখার অনুরোধ জানান সভার সভাপতি ডা. এ কে আজাদ খান।

 

সবাইকে দেশের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে : শিল্প প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে দেশের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

আজ রাজধানীর মিরপুর-১৩ এলাকায় বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ প্রাঙ্গণে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায় না, কারণ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। তাই বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে এই খাতে সর্বোচ্চ ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও পরবর্তীতে সরকারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক কোভিড-১৯ টিকাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজটি সকল ধর্মের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকলেও একটি কুচক্রী মহল ধর্মের দোহাই দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধ করে দেয়ার অপচেষ্টা চালালেও তাদের সেই অপচেষ্টা সফল হয়নি, সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, এসএসসি, এইচএসসি এবং অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলসহ সার্বিক বিবেচনায় মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের রূপনগর শাখায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে একটি আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।

প্রধান অতিথি হিসেবে অন্য অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৩২ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

 

আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার সাথে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত

 

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন পাঁচটি দপ্তর ও সংস্থার সাথে আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় মহিলা সংস্থা, জয়িতা ফাউন্ডেশন ও ডিএনএ অধিদপ্তর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) একটি শপথ ও প্রতিজ্ঞা। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ বাস্তবায়ন করলে তা অর্জিত হবে। এপিএ দেশের উন্নয়ন ও জনগণের সঠিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করে। এপিএ’র সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করেন মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম, জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান এবং জাতীয় মহিলা সংস্থা ও ডিএনএ অধিদপ্তরের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সাকিউন নাহার।

 

দক্ষতা নির্ভর শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক মোশন গ্রাফিক্স এনিমেশন ল্যাব স্থাপন করা হবে : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পালক সনদমুখী নয় দক্ষতা নির্ভর শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে অত্যাধুনিক মোশন গ্রাফিক্স ল্যাব স্থাপন করা হবে উল্লেখ করে বলেন, এরই অংশ হিসেবে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলাতে একটি এবং আইসিটি টাওয়ারে আরো একটি মোশন গ্রাফিক্স এনিমেশন ল্যাব স্থাপন করা হবে যেখানে সকলের অ্যাকসেস থাকবে। ওই ল্যাবে বসে যে কেউ তার স্বপ্নের গেম তৈরি করতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মোবাইল গেম ও এপ্লিকেশন প্রকল্পের দক্ষতা উন্নয়নের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পলক বলেন, খনিজ সম্পদ নয়, মেধাবী প্রজন্ম, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ আর উচ্চগতির সুলভ মূল্যের ইন্টারনেট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছে সরকার। এজন্য সৃজনশীলতার সঙ্গে প্রযুক্তির সম্মিলন ঘটিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে আইসিটি বিভাগ তরুণদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বমানের গেম তৈরি করে বাংলাদেশের তরুণরা যেন গেমিং বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারে সে জন্য আইসিটি বিভাগ হতে সবধরনের সহায়তা করা হবে।

গেমিং ইন্ডাস্ট্রি এখন বলিউড ইন্ড্রাস্ট্রি থেকেও বড় হয়ে গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে জনপ্রতি গড় আয় ১২ হাজার ডলারে উন্নীত করতে বাণিজ্য বহুমুখীকরণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হচ্ছে আইসিটি শিল্প। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে আইসটি খাত থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় ও ৩০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে আমরা দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে মনোযোগ দিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে মোবাইল গেমস অ্যান্ড অ্যাপ ডেভেলপারদের বিশ্বমানের গেম তৈরির সুযোগ করে দিতে ল্যাবগুলো তৈরি করা হচ্ছে। আইসিটি বিভাগের অধীনে ‘খোকা’ নামে ১০ পর্বের এনিমেশন ফিল্ম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ‘মুক্তিযুদ্ধ‘ নামে পাবজি ঘরনার একটি গেম তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৫০ মিনিটে বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস নিয়ে একটি এনিমেশন ফিল্ম তৈরি করা হবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৪ শতাধিক মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড গেম ডেভেলাপারদের মধ্য থেকে ৭০ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এদের মধ্য হতে অনুষ্ঠানে ৫ জনের হাতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। সনদপ্রাপ্তদের মধ্যে সারাদেশে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ৮ হাজার ছেলে এবং ২ হাজার মেয়েকে অ্যাপ ও ডেভেলপমেন্টের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

আইসিটি বিভাগের মোবাইল অ্যাপস অ্যান্ড গেমস প্রকল্প প্রধান আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ইডেন কলেজের শিক্ষক আতিকুজ্জামান, জেনেক্স ইনফোসিস পরিচালক আয়ূবুর রহমান, প্রিন্স মজুমদার, সার্চ সল্যুশনের নির্বাহী পরিচালক আবু তালিব, মার্স এর নিবাস চক্রবর্তী ও হ্যালো গ্রুপ সিইও ফয়াসল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

 

দেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে :পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য দৃঢপ্রতিজ্ঞ। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রবর্তন করা হয়েছে। মাসিক সভার অপেক্ষা না করে নিজ নিজ উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ের কাজ তদারকি করে জানাবেন। কাজে দায়িত্বহীনতার প্রমাণ পেলে তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যার যার দায়িত্বকে যথাযথভাবে পালন করতে হবে। দেশের উন্নয়নে আপনিও একজন অংশীদার এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

আজ রাজধানীর পানি ভবনের কনফারেন্স রুমে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২২-২৩ স্বাক্ষর ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০২০-২১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জাহিদ বলেন,  প্রজাতন্ত্রের কাজে নিয়োজিত সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। সততা ও আন্তরিকতা আপনার সন্তানদেরকেও প্রভাবিত করে একথা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। যদিও পূর্বের তুলনায় কাজের মান এবং দায়িত্বশীলতার উন্নয়ন হয়েছে। এটাকে ধরে রেখে আরো কাজ বাড়াতে হবে দায়িত্ব বাড়াতে হবে। আপনাদের কর্মফলের জন্যই সকল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ৫৪তম অবস্থান থেকে ৪ নাম্বার অবস্থানে এসেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। এখন লক্ষ্য স্থির করতে হবে প্রথম বা দ্বিতীয় হবার। বাঁধে বৃক্ষরোপণের ব্যাপারে আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরুস্কার রয়েছে তেমনি খারাপ কাজের জন্য শাস্তি থাকতে হবে। আমাদের কর্মকালীন সময়ের কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করে যেতে চাই। যেখানে যার গাফিলতি পাওয়া যাবে সেখানেই তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থার জন্য প্রকল্প গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন ও এস. এম. রেজাউল মোস্তফা কামাল; পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ, মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সংস্থা পর্যায় ৯৪ দশমিক ২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, জোন পর্যায়ে ৯৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, বাপাউবো, চট্টগ্রাম; সার্কেল পর্যায় ৯১ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড; পওর বিভাগ পর্যায়ের অফিসের মধ্যে ৯১ দশমিক ৮২ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে কক্সবাজার পওর বিভাগ; বিশেষ ক্যাটাগরিতে-প্রকল্প ৭৬ দশমিক ৮১ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে হাওর ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট এন্ড লাইভলিহুড ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট। প্রতিমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

 

সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী হয়রানিমুক্ত সেবা প্রদান করতে শিক্ষা উপমন্ত্রীর আহ্বান

 

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে যাতে সেবা গ্রহীতা সেবা নিতে পারে। একই সঙ্গে সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী হয়রানিমুক্তভাবে সব ধরনের সেবা প্রদান করতে হবে। তিনি বলেন, কোনো সেবা গ্রহীতাকে সময়মত কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে না পারলেও তাকে না পারার কারণ বিনয়ের সঙ্গে জানিয়ে দিতে হবে।

আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সাথে অধীন দপ্তর সংস্থার মধ্যে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দ্যেশ্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও জনগণের চাহিদা পূরণের সক্ষমতা সৃষ্টি না হলে কেবল আধুনিক বড় বড় স্থাপনা তৈরি করে কোনো লাভ হবে না। এজন্য তিনি সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীর জবাবদিহিতা নিশ্চিতের নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেনের সাথে বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বার্ষিক কর্মসংস্থান চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ সময় বিভাগের সচিব মোঃ কামাল হোসেন বলেন, যার যার নির্ধারিত কাজ ভালোভাবে সম্পাদন করলে মন্ত্রণালয়ের কাজে গতি সঞ্চার হবে।

অনুষ্ঠানে বিভাগ ও দপ্তর পর্যায়ের চার জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 

দুঃস্থ নারী ও শিশুদের চিকিৎসা এবং শিক্ষা সহায়তায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদান

 

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

 

দুঃস্থ নারী ও শিশুদের শিক্ষা, চিকিৎসা সহায়তা ও সাধারণ আর্থিক অনুদান হিসেবে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেছে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল বোর্ড থেকে ১ হাজার ৮৩৬ জনের মাঝে এই অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এর সভাপতিত্বে নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভায় এ অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এর ফলে দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী দেশের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিলের বোর্ডও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানে সৃষ্ট। যার মাধ্যমে আমরা দুঃস্থ নারী ও শিশুদের শিক্ষা এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করছি।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ।

 

সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ সিলেট অঞ্চলের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

 ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

 

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেছেন, বন্যাকবলিত মানুষগুলি আমাদেরই ভাই, আমাদেরই বোন। তারা এখন পানিবন্দী জীবন-যাপন করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশনায় তাদের ঘরে একদিকে শুকনা খাবার সরকার নিশ্চিত করেছে, অপরদিকে পানিবাহিত নানা রোগব্যাধি থেকে মুক্ত রাখতে স্বাস্থ্যখাতও জোড়ালোভাবে এগিয়ে এসেছে।

আজ সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা সহ নেত্রকোনা ও সিলেট জেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক একথা বলেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম সাদি এবং মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ রেয়াজুল হক এসময় উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেন ও সেখানে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং সেখানে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি হাসপাতালের মালিক, সংগঠন ও কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।

সভায় বন্যাকবলিত মানুষের চলমান স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবগত করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেখানে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ সব রকম বিপদে পাশে থাকার কথা বলেন। সভায় মন্ত্রী বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা এবং কোভিড সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বলেন, এসব এলাকায় এখন সাপের কামড় থেকে বাঁচতে দ্রুত অ্যান্টিভেনম (Antivenom) ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন সরবরাহ করতে হবে। কোভিড সমস্যায় জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে গুরুতর রোগীকে ঢাকায় প্রেরণ করতে হবে। উপদ্রুত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার কোনো ঘাটতি মেনে নেয়া হবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বন্যার্ত মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক নির্দেশনা রয়েছে। বন্যা দুর্গত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও সমবেদনা জানাতে তিনি নিজেও এসেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বন্যায় কারো খাদ্য, চিকিৎসার কোন ব্যত্যয় হয়নি।

মতবিনিময় সভা শেষে মন্ত্রী দুর্গম এলাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সেখানে কর্মরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নিকট ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন।

 

সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে ২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

 

ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

 

টেলিযোগাযোগ সুবিধাবঞ্চিত হাওড়, দ্বীপ ও দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনে ডাক
ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন বিটিআরসি’র সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) থেকে ২ হাজার ২৬ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এর মধ্যে আইসিটি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ৫০৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি স্থাপন, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের অধীন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে  দ্বীপ এলাকায় নেটওয়ার্ক স্থাপনে ৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, টেলিটকের মাধ্যমে ৩৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওড় ও দ্বীপাঞ্চলে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক স্থাপন, টেলিটকের মাধ্যমে হাওড় বাঁওড়ের দ্বিতীয় স্তরের প্রকল্প সম্প্রসারণ, বিটিসিএল এর মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওড়-বাঁওড় ও প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই সম্প্রসারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়াও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকায় বিভিন্ন জনপদ ও স্থাপনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সংযোগ স্থাপনে ৪৪ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণে ৮৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়াও উপকূলীয় পার্বত্য ও অন্যান্য দুর্গম এলাকায টেলিটকের মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ৫২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থে বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক তদারকি পষর্দ সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল কাউন্সিলের সভা গতকাল ঢাকায় সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল কাউন্সিলের সভাপতি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে এ সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এ এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিএসসিএল এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (এমটব) সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এস এম ফরহাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বন্যাদুর্গত এলাকায়  ইন্টারনেট  ও টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ভবিষ্যতে যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখতে আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এসওএফ’র প্রতিটি অর্থ দুর্গম অঞ্চলসহ দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ডিজিটাল প্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে যথাথথ ব্যবহারে প্রকল্প পরিচালকদের আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার নির্দেশ দেন।

 

পদ্মা সেতু পারাপারে যাত্রীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান সেতুমন্ত্রীর

 ঢাকা, ১৩ আষাঢ় (২৭ জুন) :

 

পদ্মা সেতু পারাপারে যাত্রী-সাধারণদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ এক বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু অবকাঠামো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা এবং দেশের এক বড় সম্পদ। এর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।

বিবৃতিতে সেতু পারাপারে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যে সকল নির্দেশনা জারি করেছে, তা যথাযথভাবে পালন করে শৃংখলা বজায় রাখারও তিনি আহ্বান জানান।

সর্বশেষ