ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নষ্ট হওয়া সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে তুরস্ক সফরে গিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এই সফরে তার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের পর বুধবারই প্রথম এমবিএস নামে খ্যাত যুবরাজ তুরস্কে গিয়েছেন।
প্রভাবশালী দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন নিরসনে কয়েক মাসের চেষ্টার পর এপ্রিলে এরদোয়ান সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। দূরত্ব নিরসনে তুরস্ক খাশুগজি হত্যাকাণ্ডের বিচার স্থগিত করে তা সৌদিতে স্থানান্তরের নির্দেশও দিয়েছে।
সৌদি সফরে এরদোয়ান যুবরাজ মোহাম্মদের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন; সৌদি বিনিয়োগের সম্ভাবনাও বাড়িয়েছেন, যা তুরস্কের বিপন্ন অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
গত সপ্তাহে এরদোয়ান বলেছেন, আঙ্কারায় এমবিএসের সঙ্গে বৈঠকের সময় তারা দুইদেশের সম্পর্ককে ‘কত উচ্চতায় নেওয়া যায়’ তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
সৌদি যুবরাজের সফরের মাধ্যমে ‘সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে এবং সংকটপূর্ববর্তী সময় ফিরবে’, নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তুরস্কের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
“নতুন যুগের সূচনা হবে,” রয়টার্সকে বলেছেন তিনি।
তবে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য মুদ্রা বিনিময়ের বিষয়ে আলোচনাটি ‘আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী দ্রুতগতিতে’ হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তুরস্কের হ্রাস পেতে থাকা বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের জন্য এই সহায়তা পাওয়া খুবই জরুরি। এ বিষয়ে এরদোয়ান ও যুবরাজ মোহাম্মদ ব্যক্তিগত পর্যায়ে আলোচনা করবেন, বলেছেন ওই কর্মকর্তা।
এমবিএসের এবারের সফরে জ্বালানি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছেন তিনি।