সাইফুর নিশাদ, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
বিশ্বের সব নেতাই ভিন্ন গুনের অধিকারী। একেক জনের একেকটি গুন আপনাকে মুগ্ধ করবে। নেতা হবেন সকলের প্রতি বন্ধু সুলভ। তিনি সকলের বন্ধু ও দুর্দিনের সহায়ক হিসেবে থাকবেন। এই কথাগুলো পড়েই আপনি আপনার মনে একে নিবেন বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দদের ছবি যারা শ্রম, সময়, অর্থ, মেধা,ও আত্বত্যাগের বিনিময়ে জনগণের কল্যাণেই কাজ করে গেছেন। এমনই একজন নেতা নরসিংদীর মনোহরদী- বেলাবের ভরসার প্রতীক হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে যাচ্ছেন। যিনি সময়, শ্রম, অর্থ ও মেধা অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছেন জনগণের কল্যাণে।
কেননা জনগণের কল্যাণে কাজ করার মাঝে যেন প্রকৃত সুখ পেয়ে থাকেন। সুখে- দুঃখে সময়ে অসময়ে জনগণের আহবানে ছুটে যান সেবা নিয়ে।
তিনি কে? এতক্ষনে হয়তো বুঝতে আর কারোরই বাকি নেই! হ্যাঁ উনার কথায় বলছি যিনি মনোহরদী-বেলাব এর তরুনদের আইকন মানবতার উজ্জ্বল নক্ষত্র মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী যিনি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্পমন্ত্রীর একমাত্র সুযোগ্য উত্তরসূরী।
এমনই একজনকে নিয়ে গর্বের কথা জানিয়েছেন নিউরো এন্ডোক্রাইন টিউমারে (গ্রেড-১) আক্রান্ত সালমা আক্তারের (৩২) ছোট বোন নাজমা আক্তার। তিনি জানান রোগ জটিলতায় ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার স্বার্থে ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যে ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে। সেখানে নেওয়ার পর ডাক্তাররা পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানান জরুরি অপারেশন লাগবে আর অপারেশন করলে সালমা(৩২) সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে অনেকটা। আর তার জন্যে সর্বমোট ৫ লক্ষ টাকা লাগবে। কিন্তু পরিক্ষা নিরিক্ষার যাবতীয় ব্যয়ে হাতে থাকে ২লক্ষ টাকা। দরকার আরও তিন লক্ষ টাকা। তখনই দিশেহারা সালমার পরিবার তবে কি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা স্বপ্নই থেকে যাবে?এদিকে টাকার জন্যে অপারেশন দেড়ি হয়ে যাচ্ছে। অপারেশন করতে দেড়ি হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশেই ক্ষীণ হয়ে যাবে।উপায়ন্তর না পেয়ে তখনই নাজমা খাতুন এ সময়ে মুক্তির দূত হিসেবে আলোর দিশারি হয়ে আসা মানবতার উজ্জ্বল নক্ষত্র সাদীর শরনাপন্ন হন। ঠিক তখনই মন্ত্রীপুত্র ছায়ার মতো তাদের পাশে দাড়িয়েছে এবং অপারেশন এর এক তৃতীয়াংশ নগদ অর্থ প্রদান করেন। সালমার এমন বিপদে মন্ত্রীপুত্রকে পাশে পেয়ে তারই ছোট বোন নাজমা বলেন “” উনি(সাদী) আমার বড় ভাইয়ের মত পাশে দাঁড়িয়েছে এটা আমার সৌভাগ্য মনে হচ্ছে। ওনার মত অভিভাবক পেয়েছি যার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি অর্থ যোগান সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে গত ২৬ শে মার্চ হার্নিয়া ও চোখের কর্নিয়া রোগে আক্রান্ত চিকিৎসার অভাবে কষ্টে থাকা কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা নরসিংদির বেলাব উপজেলার জামাই বিকাশ সরকারের হার্নিয়া অপারেশন এর ব্যয় বহন করে ধর্ম, বর্ণ, জাত সব কিছুর উর্ধ্বে থেকে প্রতিনিয়তই মানব সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।
এ যেন প্রতিনিয়তই নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত মানবকল্যানে কাজ করে যাওয়া মানুষটির। আস্তে আস্তে প্রকৃত নেতৃত্বের গুনাবলী নিজের মধ্যে প্রস্ফুটিত করে মনোহরদী-বেলাবের অসহায়,গরীব ও দুস্থ মানুষের ভরসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।