২০১৮ সালের জন্য ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড প্রদান করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা ২০ জানুয়ারি ২০২২ :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করবে। দেশের এ উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের অবদান অনেক। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা ছাড়া দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাবার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের বিকল্প নেই।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি (রপ্তানি) ও সিআইপি (ট্রেড)-২০১৮ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করেই ব্যবসা-বাণিজ্য করতে হবে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য দক্ষতা বাড়াতে হবে ব্যবসা-বাণিজ্যে। এ লক্ষ্যে রপ্তানি বাণিজ্য উৎসাহিত করার জন্যই আজ ২০১৮ সালের জন্য মনোনীত ১৭৬ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হচ্ছে।
টিপু মুনশি বলেন, অল্পসংখ্যক পণ্য নিয়ে রপ্তানি বাজারে ভালো করা যাবে না। এজন্য রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে হবে, একই সাথে বাজার সম্প্রসারণ করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ আছে যেখানে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের প্রচুর চাহিদা আছে। সেখানে আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশের মোট ২২টি খাতের ১৮টি পণ্য এবং সেবা খাত থেকে ২০১৮ সালে মোট ১৩৮ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং একই সময়ের জন্য ৩৮ জন (পদাধিকার বলে) ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (টেড্র)- সহ সর্বমোট ১৭৬ জনকে সিআইপি সম্মানে ভূষিত করা হলো। সিআইপি মনোনীত সকলে তাঁদের মেয়াদকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।