দেশের সকলকে সম্মিলিত ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করতে হবে : পরিবেশ উপমন্ত্রী
ঢাকা ২১ ডিসেম্বর ২০২১ :
দেশের সকলকে সম্মিলিতভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করতে হবে আর এ জন্য নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে বলে ২১ ডিসেম্বর সিরডাপ মিলনায়তনে বারসিক ও ইন্সটিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এন্ড ভালনারেবিলিটি স্টডিজ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী বাংলাদেশের নগর দরিদ্রদের জীবনে জলবায়ু সংকটের প্রভাব এবং জীবনমান উন্নয়নে করণীয় শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, এমপি কথাগুলো বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, সিলেটসহ দেশের সব ছোট-বড় শহরেই এই স্থানচ্যুত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। গ্রামের চেয়ে নগরে জনসংখ্যার ঘনত্ব ও চাপ বেড়েছে এবং নগরে সম্পদের ব্যবহার, আবাসন, স্বাস্থ্যখাত, খাদ্য নিরাপত্তা ও সীমাবদ্ধ কর্মক্ষেত্রের ওপরও চাপ তৈরি হচ্ছে।
পাশাপাশি নগরের বস্তি এলাকায় বসবাসরত এই নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠী আবারো জলবায়ু পরিবর্তনের নানা নেতবিাচক প্রভাবের ফলে নগরেও দুর্ভোগ সামাল দিচ্ছেন। যেমন বর্ষা, গ্রীষ্ম ও শীতকালে তাদের জলাবদ্ধতা, তীব্র তাপদাহ ও শৈতপ্রবাহ সামাল দিতে হয় এবং এর ফলে তাদের রোজগার কমে যায়, কর্মসংস্থানে সমস্যা দেখা দেয়, বিভিন্ন রোগবালাই বাড়ে এবং সবমিলিয়ে পারিবারিক ব্যয় বেড়ে যায়। এর ভেতর এই জলবায়ু উদ্বাস্তু নগরদরিদ্রদের নেই কোনো স্থায়ী বসবাসের ঠিকানা, এমনকি আবাসন ব্যয়ও অনেক বেশি। বারসিক নগরদরিদ্রদের নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখেছে, ঢাকা শহরের অধিকাংশ বস্তি ব্যক্তি মালিকাধীন, বাকীগুলো সরকারী জায়গায় এবং বেশ কিছু মানুষ ভাসমান অবস্থায় থেকে জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই সব বস্তিগলোর অধিকাংশ নগরের প্রান্তীক এলাকায় নদী, খাল, ও জলাভ’মির কাছে অবস্থিত। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে বস্তিবাসীরা যে আয়তনের ঘরের জন্য ২৫০০-৩০০০ টাকা মাসিক ভাড়া দেয়, তা ধানমন্ডি-কলাবাগানের এপার্টমেন্টের ভাড়ার দ্বিগুনের চেয়েও বেশী ভাড়া প্রদান করে।
জলবায়ু সংকট মোকাবেলা ও নগরদরিদ্রদের জন্য করণীয় :
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন কপ-২৬ সবেমাত্র শেষ হলো গ্লাসগোতে। ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি-২০ এর চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অ্যা বাংলাদেশ ভিশন ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট প্রসপারিটি’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ দাবি ও প্রস্তাব তুলে ধরেছেন গ্লাসগোতে। এনডিসি, জলবায়ু তহবিল, অভিযোজন, জলবায়ু-উদ্বাস্তু এবং কার্বন নির্গমণ হ্রাস বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও বিশ্লেষণ গুরুত্ববহ।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আজ গ্রামীণ জনগোষ্ঠী যেভাবে স্থানচ্যুত হয়ে নগরে আসছে এবং এর ফলে নগরে যেভাবে নানাবিধ সংকট তৈরিে হচ্ছে অবশ্যই এক সঠিক পরিকল্পনার ভেতর দিয়ে এই চাপ, নতুন সংকট ও সমস্যা উত্তরণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সচেতনতা ও দক্ষতা বাড়ানো এবং সকল ধরণের সরকারি সেবা-সহযোগিতায় তার অভিগম্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে নগরদরিদ্রদের আবাসন, বর্জ্যব্যবস্থাপনা, কৃটিরশিল্পভিত্তিক নিরাপদ কর্মসংস্থান, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণসহ উপযোগী অভিযোজন উদ্যোগ গুলোকে সহায়তা করু জরুরি। আর এই কাজে স্থানীয় সরকার, প্রশাসন, গণমাধ্যম, সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, বস্তিবাসীদের নিয়ে কর্মরত সংগঠন সকলের ঐক্য জরুরি।
১. ঢাকাসহ দেশের সকল নগর দরিদদ্রের মৌলিক নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
২. জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুত হয়ে নগরে আসা দরিদ্র মানুষদের তালিকা তৈরি করা জরুরি। তাদের সামগ্রিক ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব নিরূপণ করা জরুরি। জাতীয় ক্ষয়-ক্ষতির প্রতিবেদনে এই তথ্য ও পরিসংখ্যান উপযুক্তভাবে নথিবদ্ধ হওয়া জরুরি।
৩. নগর দরিদ্রদের এলাকায় পরিকল্পিত বর্জ্যব্যবস্থা, বর্জ্য থেকে সম্পদ রূপান্তরের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
৪. পরিকল্পিত নগরকৃষির আওতায় নগর বস্তি ও নগর দরিদ্রদের যুক্ত করতে হবে। নগরবস্তি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিরাপদ বিষমুক্তক খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে পারে আর এজন্য দরকার বহুমুখী সহযোগিতা ও পরিকল্পনা।
৫. নগরের নি¤œ আয়ের মানুষদের জন্য বিনামূল্যে নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. নগরের নি¤œ আয়ের মানুষদের জন্য পানি, বিদ্যুৎ, জ¦ালানী, পয়ঃনিস্কাশন এবং বজ্র ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।
৭. দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলায় নগর দরিদ্রদের জন্য বিশেষ ঝুকি ভাতা , প্রনোদনা, প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
৮. ঢাকা শহরের খাল, প্রাকৃতিক জলাশয়, উন্মুক্ত স্থান, খেলার মাঠ, পার্ক, বিনোদন স্থল, শরীর চর্চা স্থল নগরের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৯. ”সকলের জন্য নগর” এই শ্লোগান অনুযায়ী নগর গড়ে তুলতে হবে।
গবেষণায় দেখা যায় ৮৮ ভাগ উত্তরদাতা বলেছেন দূর্যোগ মোকাবেলা করে বা তাল মিলিয়ে টিকে থাকা তাদের জন্য কঠিন। সারা বছর বস্তিতে থাকে মশার উৎপাত। অধিকাংশ বস্তিতে বর্ষাকালে পানি উঠে যায়। তাদের চলাচল করতে হয় দুষিত পানি ও কাদার মধ্য দিয়ে। যখন বেশী বৃষ্টিপাত হয় তখন বস্তিবাসীদের ঘরের মধ্যে ময়লা অবর্জনাসহ পানি উঠে যায়। ডুবে যায় তাদের টয়লেট, বাথরুম, রান্নাঘর, পানির কল, রাস্তাঘাট। প্রতিবছরই ঢাকা শহরের অধিকাংশ বস্তিবাসী বর্ষাকালে এই সমস্যার মধ্যে পতিত হয়।
ঢাকার অধিকাংশ বস্তির পরিবেশ অত্যান্ত দুর্গন্ধময়, অপরিচ্ছন্ন ও ঘিঞ্জি। সিটি করপেশেনের সেবা এখানে তেমন একটি নেই। বস্তির পানি সরবরাহের পাইপগুলো নি¤œমানের হওয়ায় দ্রুত তা নষ্ট ফেটে গিয়ে পানির অপচয় হয় এবং নোংরা পানি ঢুকে পানিকে দূষিত করে তোলে। ফলে অধিকাংশ বস্তিতে পানিবাহিত রোগ প্রার্দূভাব দেখা যায়। দিনে মাত্র ২ বার পানি পাওয়ার জন্য তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী টাকা খরচ করতে হয়। গবেষণায় দেখা গেছে বস্তিতে প্রতিটি ল্যাট্রিন /টয়লেট গড়ে ১৫০-২০০ জন মানুষ ব্যবহার করে যা কোন ভাবেই স্বাস্থ্য সম্মত নয়।
বস্তিবাসীরা ঋতুভিত্তিক বিভিন্ন দুর্যোগের ফলে ডায়রিয়া, কলেরা, জ¦র, কাঁশি, গ্যাস্টিক, হাঁপানি, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, টায়ফয়েড, কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এবং তাদের আয়ের অধিকাংশ টাকা খরচ করে ফেলে। গবেষণায় পাওয়া গেছে, তাদের আয়ের বড় অংশ অর্থাৎ ৩০-৩৫ ভাগ টাকা খরচ হয় চিকিৎসা বাবদ। গবেষণায় ৩১ ভাগ উত্তরদাতা গ্রীস্মকালে জ¦র, নিউমোনিয়া, ডায়রিযা, বমি গলা ব্যাথা কথা বলেছেন। বর্ষাকালে ২৫ ভাগ মানুষ চর্মরোগ, জ¦র, নিউমোনিয়া ও বমি রোগে আক্রান্ত আক্রান্ত হয়,
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইডিএমভিএস এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড.দিলারা জাহিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে অতিথি, বক্তব্য ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্মক্ত বিশ^বিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন, বারসিকের নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত সেন, ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধি খোদেজা সুলতানা, দূর্যোগ-বিশেষজ্ঞ ও উপ-উপাচার্য, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) অধ্যাপক ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. দেবাশীষ কুমার কুন্ডু প্রমূখ। উদ্বোধনী সেশনে গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন নিউ এজ’র এমরান হোসেন ও ডেইলী আবজারভার’র বনানী মল্লিক। সাতক্ষীরার আতিরবাগান বস্তির আশরাফ আলী, রাজশাহীর বহরমপুর বস্তির মতিয়ার শেখ ও ঢাকার সিটি কলোনী বস্তির কুলসুম বেগমসহ অনেকেই নি¤œ আয়ের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করনে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা ও বারসিকের কাজ সম্পর্কে উপস্থাপন করেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ।
বিকাল ৩ টা থেকে সংলাপের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনের সভাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কাপের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান ইয়াত। প্রবন্ধ উত্থাপন করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক শামীমা প্রধান, সহযোগী গবেষক অতন্দ্র আবরার আহমেদ। বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট পরিবেশবাদী নেতা আবু নাসের খান, চেয়ারম্যান, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), রোকন উদ্দিন, কাউন্সিলর(৩৯), দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, মিহির বিশ^াস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাপা, মো: জাহাঙ্গীর আলম, নগর গবেষক , আওয়ামী বাস্তুহারালীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ হাওলাদার প্রমূখ। দ্বিতীয় অধিবেশনে নি¤œ আয়ের প্রতিনিধি ও তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপ্রধান হোসনে আরা বেগম রাফেজা, রাজশাহী থেকে স¤্রাট রায়হান।
বস্তিবাসী নেত্রী কুলসুম বেগম বলেন, বস্তিবাসীরা নানান দিকথেকেই বঞ্চিত। শিক্ষা নাই, চিকিৎসা নাই, থাকার জায়গা নাই আর বর্জ্য নিয়েই তাদের বসবাস করতে হয়। এই শহরে এসে আমাদের পরিচয় হারিয়ে আমাদের বস্তিবাসী পরিচয়টাই বড় হয়ে দাড়ায়।
বস্তিবাসী নেত্রী রাফেজা বলেন, বস্তিবাসীদের মৌলিক চাহিদা পূরণ হচ্ছেনা। তারা যুগের পর যুগ নিগ্রিহিত হয়েই যাচ্ছে।
জাতীয় সংলাপে বক্তারা তাদের বক্তব্য ও উপস্থাপনায় বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। বৈশি^ক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন কৃষি প্রতিবেশে এবং ভিন্ন পেশাজীবীদের মাঝে ভিন্ন ভিন্ন ধরণের প্রভাব পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে গিয়েছে সাইক্লোন, ঘূর্ণীঝড়, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খরা, তাপদাহ, কুয়াশা, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, দুর্বল অবকাঠামো, সীমিত সম্পদ, অদক্ষ জনবল, বহুমুখী কর্মক্ষেত্রের অভাব, অপরিকল্পিত উন্নয়নচিন্তা সবকিছু মিলিয়ে একটার পর একটা দুর্যোগ সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো সব অঞ্চলের সব মানুষের পক্ষে সমানভাবে সম্ভব হয় না।
দিন দিন এই অবস্থা এবং সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করছে। পাশাপাশি সুপেয় পানি ও পয়:নিষ্কাষন সমস্যা, বন্যা, জলবদ্ধতা, অতিবৃষ্টি, খরা, শীতের তীব্রতা ও কুয়াশা কারণে তাদের জীবন জীবিকা ব্যহত হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রোগে, কমে যাচ্ছে মূলত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় রোজগার। সেক্ষেত্রে বেশি বিপদে পড়ছেন নগরের স্বল্পআয়ের দরিদ্র মানুষেরা, বিশেষত যারা বস্তি এলাকায় কাজ করেন। বারসিক তার গবেষণায় দেখতে পেয়েছে নগরের বস্তিবাসী দরিদ্র মানুষেরা মূলত বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চল থেকে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা ও নদীভাঙ্গনের ফলে তাদের পূর্বের কৃষিজীবন ও গ্রাম থেকে উচ্ছেদ হতে বাধ্য হয়েছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বেশিরভাগ নগর দরিদ্রদের শহরে অভিবাসন ঘটেছে। এমনকি উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকেও খরা, অনাবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, কৃষিজমি বিনষ্ট হওয়ার কারণে বেশিরভাগ মানুষের নগরে স্থানান্তর ঘটেছে।