কোহলিকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর কারণ জানালেন গাঙ্গুলী

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটে দুই অধিনায়ক চায়নি ভারতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকরা। এজন্যই টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে থেকেও বিরাট কোহলির অধিনাকত্ব কেড়ে নেয়া হয়েছে বলে জানালেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (সভাপতি) সৌরভ গাঙ্গুলী।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের পর সেচ্ছায় সংক্ষিপ্ত সংস্করনের অধিনায়কত্ব ছাড়েন কোহলি। তখনও ভারতের টেস্ট ও ওয়ানডের অধিনায়ক ছিলেন কোহলি। তবে গত ৮ ডিসেম্বর কোহলির ওয়ানডে অধিনায়কত্বও কেড়ে নেয় বিসিসিআই। এতে টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডেরও অধিনায়কত্ব পান রোহিত শর্মা।
নিজ থেকে কোহলি ওয়ানডে অধিনায়কত্ব না ছাড়তে রাজি না হওয়ায় আলোচনা তুঙ্গে ভারত জুড়ে। এ অবস্থায় মুখ খুললেন গাঙ্গুলী। কোহলিকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কারনও স্পষ্ট করলেন গাঙ্গুলী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে গাঙ্গুলী বলেন, ‘কোহলিকে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর সিদ্বান্ত, বোর্ড এবং নির্বাচকরা একত্রেই নিয়েছে। এর আগে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়তে কোহলিকে অনুরোধ করেছিলো বোর্ড। কোহলি এরপরই দু’টি সাদা বলের ফরম্যাটে দু’জন আলাদা অধিনায়ক না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাই কোহলিকে টেস্ট অধিনায়ক এবং সাদা বলের দুই ফরম্যাটেই রোহিতকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আমি নিজে সভাপতি হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে কোহলির সাথে কথা বলেছি। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যানও তার সাথে কথা বলেছেন।’
ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে কোহলির অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গাঙ্গুলী। আর রোহিতের নেতৃত্বের প্রতি পূর্ণ আস্থাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘রোহিতের নেতৃত্ব গুনের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে থাকছে কোহলি। বোর্ডে আমরা যারা আছি, তারা এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী, ভারতীয় ক্রিকেট সঠিক হাতেই রয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটে অবদানের জন্য কোহলিকে অনেক ধন্যবাদ।’
অধিনায়ক হিসেবে কোহলির সাফল্য চোখে পড়ার মত। কিন্তু আইসিসির কোন ইভেন্টই জিততে পারেননি কোহলি। ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে ৯৫টি ম্যাচে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। এর মধ্যে ৬৫টি ম্যাচে জয়, ২৭টি হার, ১টি টাই ও ২টি পরিত্যক্ত হয়। তার অধীনে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে এবং ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিলো ভারত।

সর্বশেষ