নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
Bbarta24.net এ বঙ্গবন্ধু খুনীর আত্মাীয়, সাবেক বিএনপি নেতা পেলেন নৌকার মনোনয়ন শিরোনামে প্রকাশিত নিউজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাজনাব ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থী খন্দকার মোখলেছুর রহমান।
সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আাসামি মোসেলহ উদ্দিনের ভগ্নি জামাতা উল্লেখ করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে তিনি বলেন, বিবার্তায় প্রকাশিত নিউজ যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে সাবেক দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎতের দায়ে অপসারণকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান এবং অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য সদ্য অব্যাহতি পাওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সমসের ভূইয়া রিটন স্বপ্রনোদিত হয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় যা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
এখন শুধু হেয় প্রতিপন্ন ও সামাজিক ভাবে বিভ্রান্ত করতে আমার বিরুদ্ধে আপনার সুনামধন্য বহুল খ্যাত অনলাইন পত্রিকার মধ্যে যাচাই ছাড়া মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ পায় এতে আমি ও আমার পরিবার অত্যান্ত বিব্রত।
আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন আমার মায়ের মামার বাড়ি শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বৈলাব গ্রামে এবং আমার মায়ের একমাত্র মামা মরহুম জালাল উদ্দীন মাস্টার সাহেব এবং আমার মা হলেন উনার একমাত্র বোনের ঘরের ভাগ্নি। জালাল সাহেবের একমাত্র মেয়ে বিথি(খালামনি)কে শিবপুর আসনের আওয়ামিলীগ মনোনিত মাননীয় সাংসদ জহিরুল হক মোহন সাহেবের ছোট ভাই জুনু সাহেবের কাছে বিবাহ দিয়েছেন। আর আমার মা হলেন শিবপুর উপজেলার কানাহোটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন সরকার সাহেবের দ্বিতীয় মেয়ে মাহাবুবা সুলতানা। আমার নানার আরো দুই ভাই বীর মুক্তিযুদ্ধা মোশাররফ হুশেন কিরন সরকার (যিনি যুদ্ধের সময় বেলাব, মনোহরদীতে কর্মরত ছিলেন), এবং আরেকজন বীর মুক্তিযুদ্ধা বেনজির আহামেদ সরকার। এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখলাম স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও কেন একজন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর এই ধরনের অপবাদ দেয়া হল??
দ্বিতীয় বারের মত নৌকার মাঝি খন্দকার মোখলেছুর রহমান, নির্বাচন বড় কঠিন বিষয়। এতটাই কঠিন যে, প্রার্থীর নাড়ি নক্ষত্রের হিসেব বের করে নিয়ে আসে। যেমন বাজনাব ইউনিয়নের বর্তমান খন্দকার মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী নাকি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি রিসালদার মোসলেম এর ভাগ্নি: এর উত্তরে বলছি: খন্দকার মোখলেছুর রহমানের শশুর বাড়ি শিবপুর উপজেলার কানাহোটা গ্রামে। উনার স্ত্রীর নাম মাহাবুবা সুলতানা শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তমিজ উদ্দিন সরকার (তারা মিয়া) সাহেবের দ্বিতীয় মেয়ে। মাহবুবা সুলতানা শিল্পী একজন মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, শুধু তাই নয়,উনার দুই চাচা মোশাররফ হুশেন কিরন সরকার এবং বেনজির আহামেদ সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা। মোশারফ হোসেন কিরণ সরকার যুদ্ধের সময় বেলাব, মনোহরদীর রণাঙ্গণেই বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন।
আমার নানা শুশুর বাড়ি ইতিহাস মাহবুব সুলতানা শিল্পী’র মামার বাড়ি শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের বৈলাব গ্রামে। উনার একজন মাত্র মামা ছিলেন মরহুম জালাল উদ্দীন মাস্টার সাহেব। এবং মাহবুবা সুলতানা শিল্পী’র মা হলেন উনার একমাত্র বোন। জনাব জালাল সাহেবের একমাত্র মেয়ে বিথি’র বিয়ে হয়েছে শিবপুর আসনের আওয়ামিলীগ মনোনিত মাননীয় সাংসদ জহিরুল হক মোহন সাহেবের ছোট ভাই জুনায়েদুল হক ভুইয়া জুনু সাহেবের কাছে।
পরিশেষে বলতে চাই, অভিযোগ কারী ও রিপোর্টার দুজনেরই জ্ঞানের যথেষ্ঠ ঘাটতি আছে এবং যতটুকু আছে সেও ভালো কাজের জ্ঞান নয়। যতসব কু’চিন্তার সমাহার দুজনে মাথাতেই। এই সব মানুষ সমাজের জন্য খুব ভালো কিছু কখনোই করতে পারেনা। আমি আশা করবো, দুজনের’ই ভালো করে খোঁজ-খবর নিয়ে রিপোর্ট করা উচিত ছিল। তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী অতি শীগ্রই জালাল মাস্টারের একমাত্র মেয়ের জামাই জুনায়েদুল হক ভুইয়া জুনু (সহ- সভাপতি নরসিংদী জেলা আওয়ামি যুবলীগ ) যিনি শিবপুর আসনের সাংসদ জহিরুল হক ভুইয়া মোহনের আপন ছোট ভাই, এবং জালাল মাস্টারের আপন চাচাত ভাই আমির হোসেন সরকার ( সাংগঠনিক সম্পাদক শিবপুর উপজেলা আওয়ামিলীগ ) মিথ্যা অপবাদ প্রচার কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এই ধরনের মিথ্যা নিউজ প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি এই ধরনের নিউজ আরো যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করার আহ্বান করছি।