এম আর ওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জের ভৈরবে টানা দুই দিনের প্রতিকূল আবহাওয়া এবং বৃষ্টিপাতের কারণে থমকে গেছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া এবং নিম্ন আয়ের মানুষজন। এছাড়াও সড়কে কিংবা অলিগলিতে অটো রিকসা এবং বিভাটেক চলাচল কম করায় দুর্ভোগে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ চাকরিজীবীরাও। অন্যদিকে গত দুই দিনেও কখনও হালকা আবার কখনও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলি জমির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
জানাগেছে, গত রবিবার বিকাল থেকে শুরু হওয়া টানা দুইদিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে শহরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আর সড়কে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজি চলাচল কম করায় বিপাকে পড়ে যাত্রীরা। এছাড়াও শহরের বাসস্ট্যান্ড, ফেরিঘাট ও ভৈরব বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের খোলা স্থানে দোকান খুলতে না পারায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পড়েন। একই সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আলু এবং মরিচসহ বিভিন্ন ফসলি জমির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে হতাশ হয়ে পড়ছেন প্রান্তিক কৃষকরা।
কথা হয় ভৈরব বাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান, দুইদিন ধরে তিনি দোকান খুলতে পারছেন না। তার মতো অনেক ফুটপাতের ব্যবসায়ী একই অবস্থা। ফলে দুদিন ধরে তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে পড়েছে।
পুরাতন ফেরিঘাট এলাকার ভ্যান চালক ইকবাল হোসেন বলেন, দুদিন ধরে দিনরাত বৃষ্টি হচ্ছে। পেটের দায়ে বৃষ্টিতে ভিজে ভ্যান নিয়ে রাস্তায় বের হলেও কোনো কাজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এছাড়াও বাসস্ট্যান্ড সড়কে আসা অটোরিকশা চালক সুজন মিয়া জানায়, বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে সহজে কেউ ঘরে থেকে বের না হওয়ার কারণে কোনো ভাড়া মিলছে না।
অন্যদিকে প্রতিদিন অফিসে যাওয়া আসা করা চাকুরীজীবী মনিরুল হক জানান, টানা বৃষ্টি আর ঠাণ্ডা বাতাসে রাস্তায় সহজে কোনো যানবাহন পাওয়া যায় না। আর পাওয়া গেলেও ভাড়া দিগুণ চাওয়া হচ্ছে। তবুও যেতে হচ্ছে।
আর ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, যদি বৃষ্টি না থামে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেড়ে যাবে। আর থেকে থেমে গেলে এবং রোদ পেলে অনেকাংশেই ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। এছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে না আসলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা যাবে না বলেও জানান তিনি।