রংপুর ব্যুরো:
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবসময় মানবতার পাশে থাকেন। তিনি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করে চলছেন। তিনি উত্তরাঞ্চলকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। উত্তরাঞ্চল হচ্ছে ড. ওয়াজেদ মিয়ার পণ্য ভূমি। রংপুর হচ্ছে তারুণ্যের প্রতিক সজীব ওয়াজেদ জয়ের জেলা।আর তিস্তাকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বন্যা খরার মতো দূর্যোগ মোকাবিলাসহ পাল্টে যাবে তিস্তা তীরবর্তী লাখো মানুষের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট। গড়ে উঠবে আধুনিক শহর ও পর্যটন কেন্দ্র । তাঁর হাত ধরেই দেশের স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে গঙ্গা চুক্তি হয়েছে। তিস্তা চুক্তিও হবে, ইনশাআল্লাহ।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে আঞ্চলিক চর সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইট শহর ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলারসহ খনন করা হবে তিস্তা নদী ও চর। ফলে প্রতি বছর ২০ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে হাজার হাজার বাড়িঘর। তাহলে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতা থাকবে না। এই অঞ্চলে ফসলের যাতে বাম্পার ফলন হয় সেজন্য কাজ করছে সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হরে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে। মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, জার্মানির চিফ অফ পার্টি মার্ক নসব্যাক প্রমূখ।
এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবেন। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না।
তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দেখভাল করেন। উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প চলমান আছে। প্রকল্পের কাজের গুনগত মান ঠিক রেখে ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। এছাড়াও এ অঞ্চলে আরও যেসব প্রকল্প প্রয়োজন সেগুলো হাতে নেয়া হয়েছে।
উপমন্ত্রী আরও বলেন, আমিও নদী ভাঙা এলাকার মানুষ। তবে এখন আর নদী ভাঙন নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে নদীভাঙন কবলিত এলাকা এখন পর্যটন কেন্দ্রে রুপান্তরিত হয়েছে।
পরে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তর ও আবাসিক ভবন পরিদর্শন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন উপমন্ত্রী।