লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ৫০তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপন
ঢাকা ২৪ নভেম্বর ২০২১ :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন ৫০তম সশস্ত্রবাহিনী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে।
এ উপলক্ষ্যে গত ২২ নভেম্বর লন্ডনে ন্যাশনাল আর্মি মিউজিয়ামে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই যুদ্ধ-বিধস্ত দেশ পুন:গঠনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকেও একটি আধুনিক ও চৌকশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন।
তাঁর হাতে গড়া সশস্ত্রবাহিনী আজ দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীও একটি আধুনিক, সুসজ্জিত ও সুদক্ষ সশস্ত্র বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছে – যারা স্থল, আকাশ ও সমুদ্রসহ সর্বক্ষেত্রে একুশ শতকের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম।”
সাইদা মুনা তাসনিম ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের সাথে বহুমাত্রিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দুদেশের মধ্যে শীঘ্রই প্রতিরক্ষা সংলাপ শুরু হবে।
হাই কমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ৫০তম দিবস পালন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ ও আন্তরিক। এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো গভীর ও সুদৃঢ় হবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি গেভিন রিচার্ডসন ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সাথে কাজ করার ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনীর প্রতিষ্ঠা ও দেশে-বিদেশে এর বিশেষ ভূমিকার ওপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা ও এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকবৃন্দ, কূটনৈতিক ফোরামের সদস্য, বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং লন্ডনে বাংলাদেশি-বৃটিশ কমিউনিটির গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।