ট্যাক্সের টাকায় যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে আপ্যায়ন মেনে নেয়া যায় না : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ট্যাক্সের টাকায় যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে আপ্যায়ন মেনে নেয়া যায় না : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

ট্যাক্সের টাকায় যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে আপ্যায়ন মেনে নেয়া যায় না : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২১ :

 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিপাগল বীর বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। পাকিস্তানি মদদপুষ্ট যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি সেই গোষ্ঠীর অন্যতম সাঈদী ছিল যুদ্ধাপরাধীদের শিরোমণি৷ সাঈদী দেশ, সভ্যতা ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর৷ এদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় জেলখানায় যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আপ্যায়ন করানো মেনে নেয়া যায় না। তাকে যত দ্রুত ফাঁসির রায় প্রদান পূর্বক কার্যকর করা হোক।

২২ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) এর সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আয়োজিত সত্যজিৎ রায়ের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রে সামাজিক সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

ডা.মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ দেশপ্রেম দেশের জন্য তার ত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে চলচ্চিত্র অন্যতম মাধ্যম। দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত সমৃদ্ধিশালী দেশের, সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবের পথে। সেই সাফল্য গাথাও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে।

 

সত্যজিৎ রায় সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সত্যজিৎ রায় এমন একজন নির্মাতা, যার সিনেমা শুধু বাংলা ভাষাভাষী মানুষকেই অনুপ্রাণিত করেনি, শক্তি যুগিয়েছে বিশ্বের সিনেমাপ্রেমী মানুষদেরও। তার জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র আজও আমাদের শিহরিত করে। সত্যজিৎ রায়ের দেখানো পথধরেই চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে যে চলচ্চিত্র দেশের কথা সমাজের কথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলবে।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী মোঃ আবুল কালাম আজাদ। সেমিনারে পেপার উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদিরা জুনাইদ। আরো আলোচনা করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক মানজারেহাসীন মুরাদ, শিল্প সমালোচক মইনুদ্দীন খালেদ ও শামীম আখতার- চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক।

 

পরে প্রতিমন্ত্রী জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো) আয়োজিত শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম প্রকল্প (৫ম পর্যায়)-এর আওতায় Capacity Bulding of the Community Radio Professionals on Repoting/ Programming on Child Rights Issues in the Contex of COVID-19 শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপন ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগদেন। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী।

সর্বশেষ