মাদক-নারীসহ নানা অভিযোগ আ.লীগ নেতা রিটনের বিরুদ্ধে

আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে মাদক-নারীসহ অপকর্মের নানা অভিযোগ উঠেছে বেলাবো উপজেলার বহিস্কৃত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সমশের জামান ভুইয়া রিটনের বিরুদ্ধে। সভাপতির এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত দলের নেতাকর্মীরা।

প্রয়াত বাবা শমসের আলী ভুইয়ার হাত ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসেন শমসের জামান ভুইয়া রিটন। ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম অংশ নিয়ে জয়ী হলেও পরের বারেই পরাজিত হন বিএনপির প্রার্থীর কাছে। ২০১৬ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে ২০১৯ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফের জয়ী হন।

দ্বিতীয়বার জয় পেয়েই প্রভাব বিস্তারে তৎপর হন এই নেতা। এরপর থেকে দলীয় পদ ব্যবহার করে নেতাকর্মীদের হুমকি, অর্থ আদায় ও নারী-মাদকসহ নানা অপকর্মে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। চাকরি দেয়ার আশ্বাসে টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীরা বলেন, চাকরির কথা বলে সে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তিনি চাকরিতো দেয়নি আমাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেও তিনি বিভিন্ন ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হন।

এমনকি দুই ভাইস চেয়ারম্যানের সম্মানি ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিস্কার হন রিটন। তার এমন কান্ডে বিব্রত স্থানীয় নেতাকর্মী।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, যত ধরনের অপকর্ম আছে তিনি সবই করেন। তার এসব অপকর্মের জন্য কোন ধরনের উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে তা এই এলাকায়। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই এসব মানুষদের দল থেকে বাদ দিয়ে পরীক্ষীত এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের যাতে স্থান দেয়া হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বহিস্কৃত এই চেয়ারম্যান। সমশের জামান ভুইয়া রিটন বলেন, আমি যদি সরকারি টাকা আত্মসাত করি তাহলে অবশ্যই আমার বিচার হবে। তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তার কোন প্রমাণ নেই। এগুলো সম্পুর্ন ভুয়া ভিত্তিহীন।

জেলা আওয়ামী লীগ বলছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেন বলেন, বাংলাদেশ একটি সুসংগঠিত দল। যেই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের মত কোন কাজ করবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এরইমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬১ সদস্যের কমিটির ৪০ সদস্য তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

খবর-ডিবিসি নিউজ

সর্বশেষ