সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

 

যশোর ১৬ নভেম্বর ২০২১ :

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর আঘাত করা মানে দেশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা। জাতির পিতার স্বপ্নের ওপর আঘাত করা।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ যশোর জেলা প্রশাসকের  সম্মেলন কক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের অসারতা বুঝতে পেরেছিলেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের নীতি সন্নিবেশ করে গেছেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয় ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হচ্ছে প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারীরা স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে নিরাপদে এদেশে ধর্ম  পালন করতে পারবে।  প্রতিটি ধর্মের প্রতি রাষ্ট্র ও সরকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব ছড়িয়ে ফেসবুক ও ইউটিউবে অসত্য  ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ওয়াজ মাহফিলে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে  কোনো দলের পক্ষে প্রচারনা কিংবা হিংসাত্মক বক্তব্য রাখা যাবে না। এরূপ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৭ সাল হতে  বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। ধাপে ধাপে তিনি জাতির মুক্তির জন্য পথ পরিক্রমা তৈরি করে চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে  জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।

 

যশোরের জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান (পলাশ), সাবেক সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলাম, মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম ও যশোর আমিনিয়া আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

 

পরে ধর্ম  প্রতিমন্ত্রী এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী, যশোর শহরের বেজপাড়া পূজা সমিতি মন্দির এবং রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম  পরিদর্শন করেন।

 

সর্বশেষ