কিউইদের স্বপ্ন ভেঙে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার ঘরে

আকাশ দাশ/ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি ঘরে তুললো অস্ট্রেলিয়া।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি নিউজিল্যান্ড। দলীয় ২৮ রানের মাথায় জজ হ্যাজলউডের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১১ রানে সাজঘরে ফিরেন গত ম্যাচে জয়ের নায়ক ড্যারিল মিচেল। মিচেলের বিদায়ে তিনে ব্যাট করতে নেমে অন্য ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে সঙ্গী করে যখন আস্তে আস্তে খোলস থেকে বের হতে চাইছিলো নিউজিল্যান্ড কাপ্তান কেন উইলিয়ামস ঠিক তখনি খোলস খোলার আগে ব্যক্তিগত ২৮ রানের মাথায় গাপটিলকে ফিরিয়ে কিউইদের দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটি ভাঙে দেন অজি লেগ স্পিনার অ্যাডাম জম্পা। গাপটিলের বিদায়ে চারে ব্যাট করতে নামা গ্লেন ফিলিপ্সের সাথে অধিনায়ক উইলিয়ামসনের জুটিটা হয়েছে দারুণ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে যখন দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো ওই দুই জন ঠিক তখনি ৪৮ বলে ১০ চার এবং ৩টি বিশাল ছক্কায় ব্যক্তিগত ৮৫ রানের মাথায় উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে তাদের ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন জজ হ্যাজলউড।

উইলিয়ামসনের বিদায়ে বেশিক্ষণ উইকেটে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেনি তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া গ্লেন ফিলিপ্স। জজ হ্যাজলউডের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন ১৮ রানে। দ্রুত দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর নিজেদের ইনিংসের শেষদিকে জিমি নিশামের ১৩ আর টিম স্রেইপেটের ৮ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রানের সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। শেষ ১০ ওভারে আসে ১১৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জজ হ্যাজলউড নেন ৩টি উইকেট ১টি উইকেট নেন অ্যাডাম জম্পা।

নিউজিল্যান্ডের দেওয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৫ রানের মাথায় ওপেনার অ্যারণ ফিঞ্চকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চের বিদায়ে তিনে ব্যাট করতে নামা মিচেল মার্শকে সঙ্গী করে দলকে তখন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো অন্য ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তবে ব্যক্তিগত ৫৩ রানের মাথায় ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে অজিদের দ্বিতীয় উইকেটে ৯৩ রানের ভয়ঙ্কর জুটি ভাঙেন কিউই পেসার টেন্ট বোল্ট। ওয়ার্নার ফিরলেও চারে ব্যাট করতে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গী করে তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মার্শ। ৫০ বলে ৬টি চার এবং ৪টি বিশাল ছক্কায় ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শ অন্যদিকে ১৮ বলে ৪টি চার আর ১টি ছক্কায় ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। নিউজিল্যান্ডের হয়ে উইকেট ২টি নেন টেন্ট বোল্ট।

সর্বশেষ