উন্নত সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য শিশুদের সুরক্ষা অপরিহার্য : মোস্তাফা জব্বার

উন্নত সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য শিশুদের সুরক্ষা অপরিহার্য : মোস্তাফা জব্বার

উন্নত সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য শিশুদের সুরক্ষা অপরিহার্য : মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা ১৪ নভেম্বর ২০২১ :

শিশুদের সুরক্ষা করতে না পারলে সরকার উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারবে না, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, সন্তানের দক্ষতা সৃজনশীলতা ও মেধাকে বিকশিত করার জন্য পরীক্ষার ফলাফলের জন্য চাপ না দিয়ে তাকে শিক্ষার্থী হিসেবে তৈরি করতে হবে। তিনি বলেন, দেশ যত ডিজিটাল হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ তত বাড়ছে ও ডিজিটাল নিরাপত্তার গুরুত্ব তত বাড়ছে।

শিশুদেরকে ডিজিটাল যন্ত্র থেকে বা ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। তবে তাদের নিরাপত্তার জন্য প্যারেন্টাল গাইডেন্স অনুসরণের মাধ্যমে শিশুকে ডিজিটাল ডিভাইসে সম্পৃক্ত করতে হবে। অনলাইনে যুক্ত হবার দায় শিশুদের ওপর না চাপিয়ে ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষক ও অভিভাবকদেরকেও ডিজিটাল ডিভাইস বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স আয়োজিত শিশু সুরক্ষা প্রেক্ষাপট ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আ ন ম আজিজুল হক, সেভ দ্য চিলড্রেন- এর পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, এনসিটিভি সদস্য প্রফেসর মশিউজ্জামান ও প্রফেসর রিয়াজুল হাসান এবং ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর নির্বাহী পরিচালক রোকসানা সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সংস্থার উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

মন্ত্রী বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাওয়ার জন্য কবি সুকান্তের অঙ্গীকারের চেতনায় শিশুদের উন্নয়নে সামাজিক বিপ্লব গড়ে তোলা অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন। তিনি শিশু সুরক্ষা সম্পর্কে করণীয় তুলে ধরে বলেন, শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা।

এই লক্ষ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল শিক্ষা চালু করা হচ্ছে উল্লেখ করেন মন্ত্রী বলেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিশুরা যাতে খেলার ছলে আনন্দদায়কভাবে শিক্ষাটাকে ভালভাবে গ্রহণ করে সেই জন্য প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল কন্টেন্ট করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থী যারা এই পদ্ধতিতে পাঠ গ্রহণ করছে তারা এক বছরের পাঠক্রম তিন মাসেই সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, শিশুরা ইন্টারনেটে যুক্ত হবে কী না বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া দরকার উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, এবার করোনায় বাধ্য হয়েই শিশুদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস অভিভাবকরা তুলে দিয়ে তাদেরকে অনলাইন ক্লাসে অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন।

সর্বশেষ