জেমস বাড়ৈ ঃ কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি:ভিক্ষা নয় কর্ম হোক উপার্জনের মাধ্যম এই চিন্তাধারা থেকে শারিরীক ও মানিসক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ভিক্ষুক শংকর বিশ্বাসের পরিবার কে দোকানঘর উপহার দিয়েছে শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক সামাজিক সংগঠন জ্ঞানের আলো পাঠাগার।
আজ শুক্রবার সকালে কোটালীপাড়া উপেজলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের বুরুয়া গ্রামে উপহার পাওয়া দোকানঘরটি উদ্বোধন করেন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক সংকর বিশ্বাসের মা রেনুকা বিশ^াস।
জানা যায়, কোটালীপাড়ার বরুয়া গ্রামে হতদরিদ্র শান্তি বিশ্বাসের ৫ সদস্যের পরিবারে নেই কোন উপার্জণক্ষম ব্যক্তি। সামান্য সরকারি আর মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলের ভিক্ষায় কোন রকমে অনাহারে অর্ধাহারে চলছিল জীবন-যাপন। করোনার পর থেকে ভিক্ষার আয় বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে অভাব অনাটন আরো বেড়ে যায়। এই পরিবারকে সাবলম্বীকরনে এগিয়ে এলো শিক্ষা ও আর্থসামাজিক উন্নয়মূলক সামাজিক সংগঠন জ্ঞানের আলো পাঠাগার। দেওয়া হল মালামালসহ দোকানঘর। জ্ঞানের আলো পাঠাগারের উদ্যোগে আজ শুক্রবার সকালে শান্তি বিশ্বাসের স্ত্রী রেনুকা বিশ^াসকে দিয়ে উদ্বোধন করা হল এই দোকানঘর।
দোকানঘর পেয়ে পুরো পরিবারে নেমে এসেছে আনন্দের জোয়ার। পাড়া-প্রতিবেশীসহ সকলেই খুশি দোকান ঘর টি হওয়ায়।
অসহায় শান্তি বিশ্বাস বলেন, নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৫ বছর আগে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন তিনি। ২০ বছর বয়সী পরিাবারের বড় ছেলে সংকর শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। এছাড়া পরিবারে স্ত্রী, স্কুল পড়ু–য়া ১৩ বছর বয়সী মেয়ে ও ১০ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। ৫ সদস্যের পরিবারটিতে নেই কোন আয়ের উৎস। সরকারিভাবে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ও ৫০০ টাকা দিয়ে অভাব-অনাটনের সংসার চলতো খেয়ে না খেয়ে। বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের পাশে দাড়ায় জ্ঞানের আলো পাঠাগার। আজ জ্ঞানের আলো পাঠাগার আমাদের জন্য দোকানঘর করে দিয়েছে। এ যেন গরীবের জন্য সৃষ্টিকর্তার আর্শিবাদ।
জ্ঞানের আলো পাঠাগারের টিম লিডার ও সাংবাদিক সুশান্ত বর্ণিক বলেন, শান্তি বিশ্বাসের পরিবারটির চরম অসহায়ত্বের মাঝে জীবনযাপন চলছিল। বিষয়টি জেনে জ্ঞানের আলো পাঠাগারের ফেসবুক আইডি থেকে এবং আমার ফেসবুক আইডি থেকে সহায়তা চাওয়া হয় এই পরিবারটিকে একটি দোকানঘর করে দেওয়ার জন্য। বিভিন্ন মানবিক ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। সংগ্রহ হয় ৫৮ হাজার টাকা। সেই টাকা দিয়ে শান্তি বিশ্বাসের পরিবারের জন্য দোকানঘর নির্মাণ করে মালামাল তুলে দেওয়া হয়।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, শান্তি বিশ^াসের পরিবারটি খুব অসহায় একটি পরিবার। সরকারিভাবে তাদের জন্য ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানের আলো পাঠাগার সবসময় কোটালীপাড়ার অসহায়-দরিদ্র মানুষের কল্যাণে কাজ করে। শান্তি বিশ্বাসের পরিাবারকে সাবলম্বী করনে দোকানঘর করে দিয়ে জ্ঞানের আলো পাঠাগার মানবতার এক অনন্য উদাহরণ তৈরী করলো। এভাবে সবাই এগিয়ে এলে অসহায়-দরিদ্র মানুষের দুঃখ সহজেই লাঘব হবে।