অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক সমন্বয়ক এবং ইইউ’র নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের বিদায়ী আবাসিক সমন্বয়ক এবং ইইউ’র নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা নভেম্বর ১১ ২০২১ :

আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, কোভিডকালিন অর্থনীতি এবং পুনরুদ্ধার, কর্মসংস্থান, নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও সমতা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। জাতির পিতার সেই অর্থনৈতিক দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে গত এক দশক গড়ে ৭ দশমিক ৪ ভাগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভায় টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে। তিনি আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নারীর কর্মস্থান ও নারী ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন এবং আগামীতে বাংলাদেশের সাথে জাতিসংঘের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের দীর্ঘ কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে জাতিসংঘ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে মিয়া সেপ্পো জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চার বছরের কর্মকাল তার জীবনে উজ্জ্বল স্মৃতি হয়ে থাকবে। তিনি ঢাকায় অবস্থানকালে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এর পূর্বে অর্থমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত ঈযধৎষবং ডযরঃবষবু সাক্ষাৎ করেন।

অর্থমন্ত্রী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের শ্রেণিতে উত্তরণের পরও বাংলাদেশের জন্য বাণিজ্য ক্ষেত্রে প্রদত্ত অগ্রাধিকার সুবিধাদি অব্যাহত রাখার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইলি বলেন, বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের প্রতি ইইউয়ের সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০০৫ সাল থেকে ২০০৯ সাল আমি বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পলিটিক্যাল, ইকোনমিক, ট্রেড, প্রেস এবং ইনফরমেশন বিভাগের প্রধান হিসাবে থাকাকালীন তখনকার বাংলাদেশের তুলনায় বর্তমান বাংলাদেশের উন্নয়ন আমাকে অভিভূত করেছে।

সর্বশেষ