”মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি ও মিনি চিড়িয়াখানা” হতে বিভিন্ন প্রজাতির ৪৯ টি বন্যপ্রাণী জব্দ

”মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি ও মিনি চিড়িয়াখানা” হতে বিভিন্ন প্রজাতির ৪৯ টি বন্যপ্রাণী জব্দ

 

ঢাকা ০৫ নভেম্বর ২০২১ :

বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট, ঢাকা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, খুলনা, ও বন বিভাগ খুলনা অঞ্চল এর যৌথ অভিযানে আজ সাতক্ষীরা সদর এর স্বনামধন্য রিসোর্ট ও মিনি চিড়িয়াখানা ”মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি ও মিনি চিড়িয়াখানা” হতে বিভিন্ন প্রজাতির ৪৯ টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়।

পার্কের মালিক ববন্যপ্রাণী গুলো স্বেচ্ছায় বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন এবং তার এই স্বনামধন্য পার্ক টিকে ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী চিড়িয়াখানা মুক্ত হিসেবে রাখার অঙ্গীকার করেন। জব্দকৃত বন্যপ্রাণী গুলোর মধ্যে ছিল গুইসাপ ১টি, অজগর ২ টি, মদন টাক ১ টি, ভুতুম প্যাচা ১ টি, বানর ৩ টি, দাগী রাজহাস ১ টি, চখাচখি ১ টি, পাত সরালী ১৭ টি, লোনা পানির কুমির ১ টি, চিত্রা হরিন ০৩ টি, ম্যাকাও ১ টি, ময়ুর ২ টি, শিয়াল ১ টি, পালাসী ঈগল ১ টি, তিলা ঘুঘু ৩ টি, ধুপনী বক ১ টি, ভূবন চিল ১ টি, বাজপাখি ১টি, উল্লুক ১ টি, হনুমান ১ টি, সজারু ২ টি সহ মোট ৪৯ টি বন্যপ্রাণী।

এদের মধ্যে বাংলাদেশের IUCN লাল তালিকা অনুযায়ী মহাবিপন্ন প্রাণী ছিল উল্লুক, লোনা পানির কুমির, মদনটাক, দাগী রাজহাস, খয়রা চখাচখি, সজারু ও পালাসী ঈগল। প্রাণীগুলোর বেশীরভাগেরই আবাসস্থল সুন্দরবন কেন্দ্রীক হওয়ায় তাদেরকে খুলনা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এর রেস্কিউ সেন্টারে রেখে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ পরীক্ষা ও প্রকৃতিতে ছাড়ার উপযোগী করে গড়ে তুলে নিরাপদ প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে, এবং কিছু বন্যপ্রাণীর যেমন উল্লুক, সজারু, ও লালচে হনুমান এর আবাসস্থল সিলেট ও চট্রগ্রাম কেন্দীক হওয়ায় তাদেরকে কে ঢাকায় বনপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটে কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে পরবর্তীতে সিলেটের প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হবে।

আব্দুল্লাহ আস সাদিক, বন্যপ্রাণী পরিদর্শক, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের নেতৃত্বে উক্ত অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলে খুলনা বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জনাব রাজু আহমেদ, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জনাব তন্ময় আচার্য, মৎস্য বিশেষজ্ঞ জনাব মফিজুর রহমান চৌধুরী।

সর্বশেষ