দুর্যোগ মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন :  শামীম

স্টাফ রিপোর্টার:  দুর্যোগ মোকাবিলায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন বলে মন্তব্য করেছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসে এমন স্বীকৃতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কৃষি প্রকৌশল বিভাগ, আইইবি আয়োজিত
“টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য বর্জ্য পানি চিকিৎসা এবং ব্যবস্থাপনা”
শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, করোনাকালে বিশ্বে যখন হিমশিম তখন বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা এবং জীবন-জীবিকা সচল রাখতে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণে একটি মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি। সে কারণেই যথাযথই তিনি দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছেন। তিনি আগামী প্রজন্মের বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে সারাদেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

আইইবি’র কৃষি প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মোয়াজ্জেম হুসেন ভূঞা’র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আইইবি’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদা, ভাইস-প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন, বিএডিসি’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ও আইডব্লিউএম’র সেচ বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মো. আবুল কাশেম মিয়া, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (প্রাণিজ সম্পদ বিভাগ) পরিচালক-সদস্য ড. ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল নাহার করিম, সিজিআইএস’র পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোতালেব হোসেন সরকার, আইইবি’র সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু), আইইবি’র কৃষি প্রকৌশল বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. শফিকুল ইসলাম শেখ। সঞ্চালনা করেন, আইইবি’র কৃষি প্রকৌশল বিভাগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মিছবাহুজ্জামান চন্দন।

এনামুল হক শামীম আরও বলেন, বন্যা কৃষিখাতের জন্য হুমকিস্বরূপ। বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শেনায় শতবর্ষী ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়ন করছে। এতে বৈশ্বিক জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব (নদীভাঙন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস) থেকে বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে। ডেল্টাপ্লান-২১০০ এ ৮০টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যার ৮০% প্রকল্প পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। বর্তমানে পানি সম্পদ মন্ত্যনায়ন ২০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এছাড়াও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় পানি প্রবাহ অব্যাহত রাখার জন্য নিয়মিত দেশের নদ-নদীরসমূহ ক্যাপটিাল ড্রেজিং, মেইনটেনেন্স ড্রেজিং, নদীর তীর ভাঙনরোধ, ভূমি পূনঃরুদ্ধার, হাওর ও জলাভূমি উন্নয়নে কাজ করছে। ফলে পানির ধারা অব্যাহত থাকবে ও দূষণ কমে আসবে এবং কৃষি উৎপাদন করছে।

উপমন্ত্রী বলেন, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “প্রায়ই বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের প্রথম শিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। দুর্বলতা এবং সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ নিয়েছি।” কম কার্বন নিঃসরণের পথ অনুসরণ করে ‘জলবায়ু দুর্বলতাগুলোকে’ ‘জলবায়ু সমৃদ্ধিতে’ রূপান্তর করতে বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও সিভিএফ এবং কমনওয়েলথের মধ্যে কার্যকর সহযোগিতার জন্য ৬টি সুপারিশ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ু খাতে বিশ্বের ধনীগুলোকে অপেক্ষাকৃত গরীর দেশগুলোর জন্য ৬০% বাজেট বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ