বন্দর সেবাদানকারী ইনকনট্রেড লি: এর অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ৩.৪৮ কোটি টাকা আদায় ভ্যাট গোয়েন্দার 

বন্দর সেবাদানকারী ইনকনট্রেড লি: এর অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ৩.৪৮ কোটি টাকা আদায় ভ্যাট গোয়েন্দার 
বন্দর সেবাদানকারী ইনকনট্রেড লি: এর অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ৩.৪৮ কোটি টাকা আদায় ভ্যাট গোয়েন্দার 
ঢাকা নভেম্বর ০১ ২০২১ :
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর বন্দর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ইনকনট্রেড লিমিটেড এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম তদন্ত করে প্রায় ৩.৪৮ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে। ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইনকনট্রেড লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি লালদিয়ার চর, পূর্ব পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম (ভ্যাট নিবন্ধন নং- ০০২২৪৮৭১৩-০৫০৩) এ অবস্থিত।
ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক জনাব তানভীর আহমেদ এর নেতৃত্বে একটি দল জুলাই/২০১৪ হতে জুন/২০১৭ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের উপর তদন্তটি পরিচালনা করে।
তদন্ত অনুসারে দেখা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটি সেবা প্রদানকারী হিসেবে নিবন্ধিত বিধায় মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এবং একই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালার বিধি অনুযায়ী মূসক সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিলাদি যেমন: চালানপত্র (মূসক-১১), বিক্রয় হিসাব পুস্তক (মূসক- ১৭), দাখিলপত্র (মূসক-১৯) ইত্যাদি সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তা সংরক্ষণ করেননি; যা মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৩১ ও একই আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালার বিধি ২২ এর সুস্পষ্ট লংঘন।
প্রতিষ্ঠানটির দাখিলকৃত সি.এ. ফার্ম কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক অডিট প্রতিবেদন, দাখিলপত্র (মূসক-১৯) এবং বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জমাকৃত ট্রেজারি চালানের কপি/ অন্যান্য দলিলাদি হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত আড়াআড়ি যাচাই/ পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া তদন্তকালীন প্রতিষ্ঠানের আত্মপক্ষ সমর্থনে বিভিন্ন তথ্যাদি ও বক্তব্য আমলে নেয়া হয়েছে।
তদন্ত মেয়াদে দেখা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটি উৎসে কর্তন খাতে কোন ভ্যাট পরিশোধ করেনি।উক্ত সময়ে কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ৩৮,৭৬,৪৮৬ টাকা।পূর্বে কোন ভ্যাট পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির নিকট হতে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ৩৮,৭৬,৪৮৬ টাকা আদায়যোগ্য হয়েছে।
উৎসে কর্তন বাবদ এই ফাঁকির উপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাস ভিত্তিক ২% হারে ২১,৮০,৩২৮ টাকা সুদ টাকা প্রযোজ্য।
তাছাড়া তদন্ত মেয়াদে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক অডিট রিপোর্ট (সি.এ.) এ প্রদর্শিত বিক্রয়মূল্যের তুলনায় দাখিলপত্রে বিক্রয়মূল্য কম প্রদর্শন করায় অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ১,৬১,১৪,৬১৩ টাকা ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করা হয়।
এই ফাঁকির উপরও ভ্যাট আইন অনুসারে মাস ভিত্তিক ২% হারে ১,২৫,৮৩,৭১০ টাকা সুদ টাকা প্রযোজ্য।
প্রতিষ্ঠানটি অপরিশোধিত ভ্যাট এর পরিমাণ ১,৯৯,৯১,০৯৯ টাকা এবং সুদ বাবদ ১,৪৭,৬৪,০৩৮ টাকাসহ সর্বমোট ৩,৪৭,৫৫,১৩৭ টাকা সরকারি রাজস্ব পরিহারের তথ্য উদঘাটিত হয়।এখানে উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ স্বপ্রণোদিত হয়ে স্বেচ্ছায় ইতোমধ্যে তদন্তে উদঘাটিত সমুদয় ৩,৪৭,৫৫,১৩৭ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছে।
তদন্তে উদঘাটিত রাজস্ব পরিহারের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাটি আইনানুগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে। একইসাথে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরো মনিটরিং করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে।

সর্বশেষ