PES 2013 Download for Windows 7/8/10/11 - PES2013

Download PES 2013 for Windows 7/8/10/11 and dive into the exciting world of soccer with PES2013. Experience realistic gameplay and enhanced football simulation.
Get it now for FREE !

Pes 2013 Download
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধে এইড ফাউন্ডেশনের অবস্থান কর্মসূচি

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধে এইড ফাউন্ডেশনের অবস্থান কর্মসূচি

ঢাকা ১০ নভেম্বর, ২০২১:

 

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও এইড ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ১০ নভেম্বর ২০২১ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  কাছে সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধে স্থানীয় সরকারের উদ্যোগ বন্ধে সিগারেট কোম্পানীর চক্রান্ত প্রতিহত করার দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা ও পরিবেশ বাচাঁও  আন্দোলনের সভাপতি জনাব আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে; এইড ফাউন্ডেশনের আবু নাসের অনীকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন প্রত্যাশা মাদক বিরোধী জোটের সাধারণ সম্পাদক হেলালুল ইসলাম, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক একেএম মাকসুদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক বজলুর রহমান, নাটাব এর প্রকল্প সমন্বয়ক খলিলুর রহমান, বিইআর ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের হামিদুল ইসলাম প্রমূখ।

বক্তারা বক্তেব্যে বলেন,কিশোর-যুব সমাজকে সিগারেট সেবনে উৎসাহী করতে সিগারেট কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় নেমেছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ গাইডলাইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে সিগারেট বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে। সিগারেট কোম্পানিগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এই শুভ উদ্যোগকে বন্ধে অপচষ্টা, অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সংবিধান অনুচ্ছেদ ১৮(১) এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ তফসিল ১ ও ৫ অনুসারে স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ গাইডলাইন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই গাইডলাইন অনুসারে, তামাকজাত বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আওতায় এনে বিক্রয় সীমিতকরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই গাইডলাইন বাতিলের জন্য তামাক কোম্পানীগুলি মরিয়া হয়ে উঠেছে। কারণ তাদের প্রধানতম টার্গেট শিশু-কিশোর-যুবক। এদেরকে সিগারেটের নেশা ধরিয়ে দিতে পারলেই তাদের দীর্ঘ মেয়াদী ভোক্তা তৈরি হয়ে যায়। যার জন্য তামাক কোম্পানীগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশ-পাশে সিগারেট বিক্রি করানোর বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তামাক নিয়ন্ত্রণের গাইডলাইন কার্যকর থাকলে তামাক কোম্পানীগুলির প্রধান ভোক্তা তৈরি বাধাগ্রস্থ হবে। লাইসেন্স ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে একটি এলাকায় তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়কেন্দ্র বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি সীমিত করা সম্ভব হবে। এই কারনে তামাক কোম্পানীগুলি মরিয়া হয়ে উঠেছে এই গাইডলাইন বাতিল করার জন্য। নীতিনির্ধারকদের বিভিন্নভাবে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, যা পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও তারা করে থাকে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করছে প্রতিনিয়তো। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আন্তরিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। তাদের এই ধৃষ্টতা এক ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ ঘোষণা বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনের একটি অন্যতম হাতিয়ার।আমাদের উচিত সম্মিলতভাবে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশে গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখা। । স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান, তামাক কোম্পানীর কূটকৌশল বন্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।  দেশের যুব সমাজকে তামাক কোম্পানির হাত হতে রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

সর্বশেষ