প্রায় ১৯ বছর আগে হত্যা করা হয় মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নিকে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রায়ের জন্য দিন ধার্য রয়েছে আজ। গত ২৬ অক্টোবর ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরীর আদালত এই দিন ধার্য করেন।
এর আগে এ মামলার রায়ের জন্য ২৬ অক্টোবর ধার্য ছিল। রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আবেদন করলে আদালত ফের রায়ের তারিখ পিছিয়ে দেন।
২০০২ সালের ১০ নভেস্বর তিন্নিকে খুন করার পর তাঁর লাশ বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর চীন মৈত্রী সেতুর নিচে ফেলে রাখা হয়। লাশ উদ্ধারের পরদিন পুলিশ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের তৎকালীন সহকারী কমিশনার মোজাম্মেল হক ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর শুধু জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভিকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পিয়ালের সঙ্গে তিন্নির দাম্পত্য সম্পর্কের অবসান ঘটিয়েছিলেন অভি। তবে অভি কখনো তিন্নিকে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। বিয়ের জন্য তিন্নি চাপ দিলে অভি তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
এদিকে, অভিযোগপত্র দেওয়ার পর বিভিন্ন কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ সাতবার পেছানো হয়। অবশেষে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ ঢাকার তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ কৃষ্ণা দেবনাথ আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচারের জন্য তা বর্তমান আদালতে পাঠান। একই বছরের ১০ এপ্রিল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রধান আসামি, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি গোলাম ফারুক অভি পলাতক রয়েছেন। ১৯৯২ সালে রমনা থানায় দায়ের করা একটি অস্ত্র মামলার ১৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায়ের পর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন অভি। এর পরই দেশ ছাড়েন তিনি।
সূত্র: কালেরকন্ঠ