ভৈরবে লাশ হয়ে ফিরে আসল শারমিন

ভৈরবে লাশ হয়ে ফিরে আসল শারমিন

এম আরওয়াসিম, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ শারমিনের(১৯) বাড়ি ভৈরবে শিবপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের ডেংগার হাটি এলাকার গোলাপ মিয়া মেয়ে।প্রায় ৯মাস আগে বেলাব থানার সল্লাবাদ ইউনিয়নের সররাবাদ গ্রামেফিরুজ মিয়ার ছেলে নাদিমের সাথে পারবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ছেলে বিদেশে যাওয়ার জন্য নাদিম কে ৮৫ হাজার টাকা দেয় শারমিনের বাবা।পরবর্তীতে ঐ টাকা ফেরত চাইলে প্রতিনিয়ত শারমিনের উপর মানসিক ও শাররীক ভাবে আঘাত করত নাদিমের পরিবারের লোকজন।এক পর্যায়ে নাদিমের বাবা শারমিন কে বাবার বাড়ি থকে আরো টানা এনে দিতে বলে। কিন্তু মেয়ে শারমিন অপারগতা স্বীকার করলে শ্বশুর, শ্বাশুড়ি সহ পরিবারের লোকজন মিলে শারমিন কে গত শনিবার দিবাগত ভোর রাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করে শারমিনের পরিবারের লোক।

এ নিয়ে বেলাব থানর বেলাবতে গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। নাদিমের পরিবারের দাবী মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত শারমিনের পরিবারের দাবী শশুরবাড়ির লোকজন তাকে যৌতুকের জন্য পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তশেষ করে স্বজনদের হাতে শারমিনের মরদেহ হস্তান্তর করে দেয়।

আরবে চাকরী করে। গতকাল রাতে কোন এক সময় গৃহবধু শারমিনের লাশ পাওয়া
যায় বসত ঘরের সাথে গরুর গোয়াল ঘরে।

এলাকাবাসি ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের দাবী শারমিন গোয়াল ঘরে শোয়ানো অবস্থায় হাত পা এদিক সেদিক ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল। তাদের দাবী শারমিনকে হত্যা করেছে তার শাশুড়ি সাহেরা ও শুশুর ফিরুজ মিয়া।

অন্যদিকে নিহত গৃহবধুর শাশুড়ি সাহেরা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমার ছেলের বৌকে কেন আমরা মারতে যাব। এটা নিতান্তই মিথ্যা ঘটনা ও মিধ্যা কথা। শারমিন গলায় দড়ি দিয়ে ঘরের ধন্নার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এবিষয়ে শারমিনের বাবা গোলাপ মিয়া বাদী হয়ে বেলাব থানায় একটিহত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরের দিনই শারমিনের শ্বাশুড়ি সায়েরা ও শ্বশুর

বেলাব থানার ওসি মোঃ শাফায়েত হোসেন পলাশ বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তেরর জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বিল্লাল জানান উক্ত ঘটনায় এজাহার নামীয় দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে একজন শারমিনের শ্বশুর ও অপর জন শারমিনের জা।বাকিদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ