নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
“উপকারের ঘাড়ে লাথি” গ্রামীন এই প্রবাদের সাথে যেনো মিলে গেলো নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের মইষাকান্দি গ্রামের জমাত আলীর পরিবারের জীবন।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, মইষাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সময় এলাকার শিক্ষার প্রসারে ০৮ শতাংশ জমি দান করেন জমাত আলী এবং জমির বাকি অংশগুলো এতোদিন স্কুলের খেলার মাঠ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় এখন নিজেদের জমিতে ভবন নির্মাণ করতে পারছে না তার উত্তরসূরীরা।
সরজমীনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে স্থানীয় জমাত আলী নামে এক ব্যক্তি মইষাকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ০৮ শতাংশ জমি দান করেন।
জমির বাকি জায়গাতে এতোদিন পরে তার উত্তরসূরীরা ভবন নির্মাণ করতে গেলেই বাধে বিপত্তি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ০৮ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের অংশ ছাড়াও সামনে থাকা বাকি অংশটুকুও বিদ্যালয়ের দাবী করে কিন্তু বৈধ কোন কাগজ দেখাতে পারে নি।
বৈধ কাগজ দেখাতে না পারলেও জমিতে ভবন নির্মানের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এ্যাড. মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন,১৯৪৭ সালে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ৩৮ শতক জমি দান করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ের মাঠটি অত্যন্ত ছোট, তারপরেও যদি আবার এখানে পুরো মাঠ দখল করে ভবন তোলা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হবে। এলাকার সুশীল সমাজ বিদ্যালয় মাঠে ভবন নির্মাণ বন্ধ করার দাবি করেছেন। তাছাড়া পর্চা সংশোধনের বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হবে।
এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবার দাবী করে বলেন যে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি ০৮ শতাংশ জমি ছাড়া বাকি অংশের বৈধ কাগজ দেখাতে পারে তাহলে আমাদের ভবন ভেঙে তাদের জায়গা বুঝিয়ে দিবো।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বৈধ কাগজ দেখাতে পারে নি। যদি তারা জায়গার কাগজ দেখাতে পারে তাহলে দাতারা তাদের ভবন ভেঙে জায়গা ফেরত দিবে।