দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে সোনালি ঐতিহ্য মসলিন : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে সোনালি ঐতিহ্য মসলিন : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

 

রূপগঞ্জ ১৩ নভেম্বর ২০২১ :

 

সোনালি ঐতিহ্যে ফিরেছে বাংলার মসলিন আর এর ফলে দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলার সোনালি মসলিন বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক।

 

আজ রূপগঞ্জের তারাবো এলাকার ঢাকাই মসলিন হাউস পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান মন্ত্রী।

 

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডকে মসলিনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে। মসলিন উৎপাদনের প্রযুক্তি পুনরুদ্ধার করে বর্তমানে মসলিন তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে মসলিন শাড়ি দেখানো হয়েছে। ব্রিটিশ জাদুঘরে যে শাড়িটি পাওয়া গিয়েছিল সেটা ছিল ৫০০ কাউন্ট। এখন ৭০০ কাউন্টের সুতো দিয়ে মসলিন শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে।  এই ঐতিহ্য আরো কিভাবে উন্নত করা যায় সরকার সে প্রচেষ্টা করছে।

 

গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন,  দ্রুত সময়ে সরকার বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারবে। বিশ্ববাজারে যেতে আর বেশি সময় লাগবে না। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে এই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। দেশ ইতোমধ্যে এই টেকনোলজিকে রপ্ত করতে পেরেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শাড়ি তৈরি করে সফলতা পেয়েছে।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, বাণিজ্যিকভাবে যেতে গেলে একটু সময় লাগবে তবে সেটা কঠিন নয়। মসলিনের কোয়ালিটি ধরে রাখতে হবে। এছাড়া মসলিন জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। বাংলাদেশে একটি শাড়ি ৫-১০ লাখ টাকা হলে সেটার বিক্রয় কম হবে। দেশের মূল হচ্ছে জনগণ। জনগণের কাছে যদি সরকার পৌঁছে দিতে পারে সেটাই হবে বড় সফলতা। তাই সরকার প্রথমে শাড়িটাকে নিয়ে কাজ করবে এবং রফতানিসহ সব হবে।  বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭০ বছর পূর্বে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালি ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

 

গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। মসলিনের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল মান্নানসহ প্রমুখ।

সর্বশেষ