দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী একজন যোগ্য আর্কিটেক্ট : আনিসুল হক
ঢাকা ১২ নভেম্বর ২০২১ :
দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীকে একজন যোগ্য আর্কিটেক্ট (স্থপতি) বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এর অডিটোরিয়ামে সিনিয়র কৃষিবিদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের ঢাকা মেট্রোপলিটন শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী একজন যোগ্য আর্কিটেক্ট। তাঁর প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হবে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা এবং ২০৪১ সালে দারিদ্র্য অবসান করে বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। দেশের উন্নয়নে এমন পরিকল্পনা বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ নেয়নি। তিনি একটা ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছেন যেটা ২১০০ সাল পর্যন্ত। এটি ব্যতিক্রম। এটাতে বুঝা যায়, তিনি একজন দূরদর্শী আর্কিটেক্ট।
এ সময় ১২ নভেম্বরের তাৎপর্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই দিনে ইনডেমনিটির মতো কালো আইন বাতিল করে আইনের শাসনের দ্বার উন্মোচন হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে এই কালো আইন বাতিল করা হয়। এর ফলেই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও জেল হত্যার বিচার হয়েছে। এছাড়া ১৯৭০ সালের এই দিনে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। সেই ঘূর্ণিঝড়ে বহু মানুষ হতাহত হয়। তখন কিন্তু পাকিস্তান সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বঙ্গবন্ধু সে দিন পদক্ষেপ নেওয়ায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তার বেশ প্রভাব পড়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গবেষণাবান্ধব উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গবেষণায় গুরুত্বারোপ করেন। ২০০৯ সালে তিনি গবেষণার জন্য প্রচুর টাকা দিয়েছেন। আইনমন্ত্রী কৃষিবিদদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা গবেষণা চালিয়ে যাবেন। সেই জন্য সরকার আপনাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে। ১৯৯৬ সালের ২৬ লাখ টন খাদ্য সংকট থেকে এখন খাদ্য শস্যে উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী সারের দাম কমিয়েছেন। তিনি কৃষকবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ। যেখানে প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বাড়ছে। নগরায়ন হচ্ছে, শিল্পায়ন হচ্ছে, কৃষি জমি কমছে। এর সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবও রয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে খাদ্য সংকট হওয়া স্বাভাবিক। এটা মোকাবেলা করা আপনাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আপনাদের গবেষণার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন হবে, সেই অর্থ সরকার সব সময় দেবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই ,যার জন্য মানুষ গর্ব করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোঃ লিয়াকত আলী জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শের-ই- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া, কেআইবি’র মহাসচিব মোঃ খায়রুল আলম (প্রিন্স), আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক
ড. মোঃ তাসদিকুর রহমান সনেট প্রমুখ বক্তৃতা করেন।