রিমা খাতুন স্বেচ্ছায় বিয়ে করলেন তার বড় বোনের ছেড়ে দেওয়া স্বামী মিলনকে

বিশেষ প্রতিনিধি: এ ঘটনা ঘটেছে মাগুরা জেলা মোহাম্মদপুর থানায় রিমা খাতুন আরো জানায়,আমার বয়স ১৮পার হয়েছে। আমি স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের আইন ও ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক নিজ আগ্রহে মিলন কে বিয়ে করেছি। তিনি আরো বলেন আমার বড় বোন ভালোবেসে মিলনকে বিয়ে করেছিল। আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি আমরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার ছিলাম। আমার বোনের লেখাপড়া সহ সকল খরচ পাতি দিয়ে বোনকে বড় করে তুলেছে ৩৩তম বিসিএস,সে অনেক বড় অফিসার ইউএনো ভালুকা মিলনের সাথে যে অন্যায় অবিচার করেছে,আমি অনুতপ্ত হয়ে মিলনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি,এতে আমার কোন অভিযোগ নাই। এদিকে রিমার বাবা আবু সাঈদ(৬১)নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৭/৩০ ধারায় মাগুরা কোর্ট এ ১টি মামলা দায়ের করেছেন যাতে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিনহাজুল ইসলাম মিলন(৩৬) ও দ্বিতীয় আসামি লিটন (৪০)কে। এ প্রসঙ্গে রিমা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কোন অভিযোগ নেই, আমার বাবা মিথ্যা মামলা দিয়েছে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে।

মোঃ আবু সাঈদ যে ফোন নাম্বার মামলাতে ব্যবহার করেছেন একাধিকবার তাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি,মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। অপরদিকে তার বড় বোন সালমা ইসলাম এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে সরকারী নাম্বারে ফোন দিলে একজন ফোন ধরে বলেন উনি ছুটিতে আছেন। উনার স্বামী সহকারে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছেন। মিলনের সাথে এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার সাবেক স্ত্রী সালমা ইসলাম এর সাথে ২০০৫সালে ছাত্রী অবস্থায় আমার বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়াই তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। তার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র ছিল কিন্তু আমি দেখেছি সে ছাত্রী হিসাবে মেধাবী এসএসসি পাস করার পর থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে তাকে আমরা লেখাপড়া শিখিয়েছি।আমাদের পরিবারের অবদান অনেক বেশি তাকে মানুষ করার জন্য ।

সে ২২নভেম্বর২০২০সালে আমাকে একটা ডিভোর্স লেটার পাঠায় এবং ১পহেলা জানুয়ারি২০২১ আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন রাজু ইসলাম ৩৪তম বিসিএস (পুলিশ)ক্যাডার এর সাথে। তিনি আরো বলেন,তার ছোট বোন রিমা খাতুন স্বইচ্ছায় আমাকে ভালোবেসে ও তার বোনের প্রায়শ্চিত্ত ভালোবাসার মর্ম প্রদানের জন্য আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ২৪শে অক্টোবর২০২১। গতকাল রাতে আমি জানতে পারি তাহার বাবা বাদী হয়ে কোটে ১টি মামলা করেছেন ২৪/১০/২১ তারিখে।

এ প্রসঙ্গে মিলনের মেজ ভাই মিন্টু বলেন,আমার মার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী ব্যক্তি হলেন সালমা কারন,আমার ছোট ভাইয়ের বউ ছিল,আম্মা তাকে অনেক আদর যত্ন ভালোবেসে নিজের মেয়ের মতন লালন-পালন করে লেখাপড়া শেখায়।তার সমস্ত কিছু পূরণ করেছেন আমার আম্মা কিন্তু সে বড় অফিসার হয়ে যাওয়ার পরে আমার ছোট ভাইকে ছেড়ে দেওয়ায় সে বড় দুশ্চিন্তা ও ভাবনার মধ্যে পড়ে যায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। যা তিনি মেনে নিতে পারেনি যার অবশেষ পরিণতিতে কিছুদিন আগে আমার আম্মা মৃত্যুবরণ করেন। এ প্রসঙ্গে মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ নাসির বলেন,কোর্টের মামলার কপি আমরা হাতে পেয়েছি আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। সত্য-মিথ্যা বিচার করবে কোর্ট।

সর্বশেষ